Showing posts with label পঞ্চগড়. Show all posts
Showing posts with label পঞ্চগড়. Show all posts

Sunday, 18 February 2024

মিরাক্কেল টমেটো চাষে কৃষকদের বেশি আগ্রহ দেখা গেছে ডুমুরিয়ায় ইউনাইটেড কোম্পানির

মিরাক্কেল টমেটো চাষে কৃষকদের বেশি আগ্রহ দেখা গেছে ডুমুরিয়ায় ইউনাইটেড কোম্পানির

মিরাক্কেল টমেটো চাষে কৃষকদের বেশি আগ্রহ দেখা গেছে ডুমুরিয়ায় ইউনাইটেড কোম্পানির 

শেখ মাহতাব হোসেন ডুমুরিয়া খুলনা।


ডুমুরিয়ায় ইউনাইটেড সীড  কোম্পানির মিরাক্কেল টমেটোসহ বিভিন্ন সবজি চাষের দিকে ঝুঁকেছেন কৃষকেরা। এর মধ্যে টমেটো চাষে কৃষকদের বেশি আগ্রহ দেখা গেছে। রাসায়নিক সারের পরিবর্তে জৈব সার ব্যবহার করে ভালো ফলন পাচ্ছেন তাঁরা। 

ডুমুরিয়া উপজেলায় মোট ৪১০ হেক্টর জায়গায় টমেটো চাষ হয়। যার মধ্যে গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষ হয় ৪০ হেক্টর জায়গায় এবং উৎপাদন এক হাজার টন ( হেক্টর প্রতি ফলন ২৫ টন)। যার মূল্য ১০ কোটি টাকা। আবার শীতকালীন টমেটো চাষ হয় ৩৭০ হে. জমিতে এবং ফলন গড়ে হেক্টর প্রতি ৩২ টন। রবি মৌসূমে টমেটোর মোট উৎপাদন ১১,৮৪০ টন। কেজি প্রতি টমেটোর বিক্রয় মূল্য ৩০ টাকা হিসাবে মোট ৩৫.৫২ কোটি টাকার টমেটো উৎপাদন হয় রবি মৌসূমে। অর্থাৎ ডুমুরিয়া উপজেলা থেকে বছরে ৪৫.৫২ কোটি টাকার টমেটো উৎপাদন হয়। 



সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার গুটুদিয়া ইউনিয়নের কুলটি গ্রামের কৃষক অসিত বিশ্বাস ১২ বিঘা জমির ঘেরের আইলে টমেটো চাষ করেন এবং গত ২ মাসে তিনি প্রায় পনের লাখ টাকার টমেটো বিক্রি করেছেন এবং এখনও বিক্রি করছেন।কুলটি গ্রামের কৃষক অসিত বিশ্বাস বলেন, ‘আমি আমার মাছের ১২ বিঘার ঘেরের আইলে টমেটো চাষ করি। টমেটো উৎপাদন ও আবাদ এলাকা বাড়ানোর জন্য আগাম জাত চাষ সম্পর্কে  কৃষককে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদের দক্ষ করে তুলে কমিউনিটি এপ্রোচের মাধ্যমে এগোতে হবে; বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে এসব জাত ও উৎপাদন কলাকৌশলের ওপর ব্যাপক প্রচারণা চালানো দরকার; বেশি বৃষ্টিপাতকে এড়িয়ে কম বৃষ্টিপাতের সময়ে পলিশেড ছাড়াই পলি-মালচিং প্রয়োগ করে চারা লাগালে খরচ সাশ্রয় হবে; উৎপাদন বৃদ্ধি পেলে কৃষক দলভিত্তিক কার্যকর বিপণন চ্যানেল তৈরি করে টমেটো বাজারজাত করতে পারলে লাভবান হবে বেশি দেশীয় উৎপাদন বাড়লে আমদানি সীমিত রাখা এবং লাগসই উৎপাদন প্রযুক্তি উদ্ভাবনের জন্য গবেষণা কার্যক্রম চলমান রাখা দরকার।


জলবায়ুর অভিঘাত মোকাবিলায় কৃষকের আয় বাড়াতে, পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে গ্রীষ্মকালীন ইউনাইটেড সীড কোম্পানির মিরাক্কেল টমেটো চাষ সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। বারি গ্রীষ্মকালীন টমেটোর জাতের  চাষ বাড়ানো গেলে টমেটোর বছরব্যাপী দেশের চাহিদা পূরণ হবে এবং আমদানি নির্ভরতা কমবে। সে সাথে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক প্রতি ইঞ্চি জমি চাষের আওতায় আনতে গ্রীষ্মকালীন টমেটোর চাষ সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।

উপজেলার কুলটি ব্লকের উপসহকারী কৃষি অফিসার শেখ আবু হুরায়রা বলেন, এবার  কুলটি ব্লকে ৩৫ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের টমেটো চাষ হয়েছে।  তবে বাহুবলী জাতের টমেটোর চাষ বেশি হয়েছে এবং এর ফলনও ভালো হয়েছে। সম্পূর্ণ আধুনিক পদ্ধতিতে টমেটোর আবাদ করছেন কৃষকেরা। ভবিষ্যতে টমেটো চাষে কৃষকদের আগ্রহ বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। 

 ডুমুরিয়া উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ ইনসাদ ইবনে আমিন বলেন ডুমুরিয়ার কৃষককে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদের দক্ষ করে তুলে কমিউনিটি এপ্রোচের মাধ্যমে এগোতে হবে, বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে এসব জাত ও উৎপাদন কলাকৌশলের ওপর ব্যাপক প্রচারণা চালানো দরকার, বেশি বৃষ্টিপাতকে এড়িয়ে কম বৃষ্টিপাতের সময়ে পলিশেড ছাড়াই পলি-মালচিং প্রয়োগ করে চারা লাগালে খরচ সাশ্রয় হবে।

উৎপাদন বৃদ্ধি পেলে কৃষক দলভিত্তিক কার্যকর বিপণন চ্যানেল তৈরি করে টমেটো বাজারজাত করতে পারলে লাভবান হবে বেশি, দেশীয় উৎপাদন বাড়লে আমদানি সীমিত রাখা এবং লাগসই উৎপাদন প্রযুক্তি উদ্ভাবনের জন্য গবেষণা কার্যক্রম চলমান রাখা দরকার মনে করেন।

জলবায়ুর অভিঘাত মোকাবিলায় কৃষকের আয় বাড়াতে, পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষ সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। বারি গ্রীষ্মকালীন টমেটো জাতের চাষ বাড়ানো গেলে টমেটোর বছরব্যাপী দেশের চাহিদা পূরণ হবে এবং আমদানি নির্ভরতা কমবে। সে সাথে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক প্রতি ইঞ্চি জমি চাষের আওতায় আনতে গ্রীষ্মকালীন মিরাক্কেল টমেটো চাষ সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।


শেখ মাহতাব হোসেন।

 ডুমুরিয়া খুলনা।

 

Friday, 5 August 2022

পঞ্চগড়ের জেলায় নদীর সংখ্য ৪৬ টি

পঞ্চগড়ের জেলায় নদীর সংখ্য ৪৬ টি

পঞ্চগড়ের জেলায় নদীর সংখ্য ৪৬ টি

আন্তসীমান্ত নদী

(১) মহানন্দা (২) করোতোয়া (৩) ডাহুক (৪) তালমা (৫) টাঙ্গন (৬)ঘোড়ামারা (৭) বুড়ি তিস্তা (৮) নাগর। 

তালিকা বহির্ভূত আন্তসীমান্ত নদী

(১) বেরং (২) কুড়ুম (৩) চাওয়াই (৪) ছোট যমুনা (৫)পাঙ্গা (৬) আলাই কুমারী (৭) ভাতা (৮) গোবরা (৯) সাঁও  

পঞ্চগড়ে উপত্তি

১. ভেরসা ২. খরখরিয়া ৩. ঘাগরা ৪. বোরকা ৫. ঝিনাইকুঁড়ি ৬. ছেতনাই (৭) শিঙ্গিয়া বা বহু নদী (৮). হুয়ারী বা হঠাৎ নদী, (৯) কাঠগিরি (১০) বাঘমারা (১১) ডারি (১২) চিলকা (১৩) বহিতা (১৪)  শালমাড়া (১৫) তিস্তা (১৬) ভাঙ্গা (১৭) পাইকানী (১৮) পাম নদী (১৯) পাথরাজ (২০) আতরাই (২১) ভূল্লি (২২) পাথরাজ (২৩) রসেয়া (২৪)তীরনই (২৫)রনচন্ডি (২৬) জোড়াপানি (২৭) সুই নদী (২৮) পেটকি (২৯) দারা।
 
পঞ্চগড়ের মাটিতে উৎপত্তি হয়েছে ২৯ টি নদী। অন্য কোন জেলায় এতো নদী প্রবাহিত হয়নি। 
এতো নদী প্রবাহিত হলেও পঞ্চগড় ভয়াবহ বন্যা বা ভাঙ্গনের কবলে পড়েনি। এই নদী গুলি উন্নয়নে ভূমিকা রেখেই চলেছে।

Tuesday, 28 June 2022

ঈদ উল আযহা বেনার ডিজাইন মোবাইল দিয়ে

ঈদ উল আযহা বেনার ডিজাইন মোবাইল দিয়ে

ঈদ উল আযহা বেনার ডিজাইন মোবাইল দিয়ে

আমাদের অনেকের পিসি না থাকার
ঈদ শুভেচ্ছা বেনার তৈরি করতে পারিনা এবং 
এই ভারচুযাল জগতে ঈদ উপলক্ষে
ফেসবুকে ঈদ ফেসটুন বেনারের ঝড় বয়ে যাই তাই আপনাদের কথা মাথায় রেখে আমরা নিয়ে এসেছি মোবাইল ডিজাইন চাইলে আপনিও তৈরি করতে পারেন আপনার হাতে থাকা মোবাইল টি দিয়ে তো চলুন

আওয়ামীলিগ




বি এন পি

কোনো সংগঠনের জন্য
এখান থেকে



পাসওয়ার্ড. RYKAJ3 দিন


করে আপনার মোবাইলের পিক্সেল লেব
এ ওপেন করে কাস্টমাইজ করুন
ভিডিও টি দেখুন




Friday, 10 June 2022

"দোলনচাঁপা এক্সপ্রেস" পঞ্চগড় হতে উদ্বোধন হতে যাচ্ছে বর্ধিত রুটের ১১ তারিখে

"দোলনচাঁপা এক্সপ্রেস" পঞ্চগড় হতে উদ্বোধন হতে যাচ্ছে বর্ধিত রুটের ১১ তারিখে

"দোলনচাঁপা এক্সপ্রেস" পঞ্চগড় হতে উদ্বোধন হতে যাচ্ছে বর্ধিত রুটের ১১ তারিখে

আন্তঃনগর দোলনচাঁপা এক্সপ্রেস এর বর্ধিত যাত্রা বিরতি ও পরিবর্তিত বিস্তারিত সময়সূচিঃ

৭৬৮/সান্তাহার-গামী/ডাউন, 

১. বিমুসিই, পঞ্চগড়, ছাড়বে ৬ঃ০০
২. নয়নীব্রুজ ছাড়বে ৬ঃ১১
৩. কিসমত ছাড়বে ৬ঃ২৩
৪. রুহিয়া ছাড়বে ৬ঃ৩৫
৫. ঠাকুরগাঁও ছাড়বে ৬ঃ৫৪
৬. পীরগঞ্জ ছাড়বে ৭ঃ৩৭
৭. সেতাবগঞ্জ ছাড়বে ৭ঃ৫৫
৮. দিনাজপুর ছাড়বে ৮ঃ৩৫
৯. চিরিরবন্দর ছাড়বে ৮ঃ৫৯
১০. পার্বতীপুর পৌছাবে ৯ঃ২০ ছাড়বে ৯ঃ৪০
১১. খোলাহাটি ছাড়বে ৯ঃ৫৩
১২. বদরগঞ্জ ছাড়বে ১০ঃ০৬
১৩. রংপুর পৌছাবে ১০ঃ৩০, ছাড়বে ১০ঃ৩৫
১৪. কাউনিয়া পৌছাবে ১১ঃ০০, ছাড়বে ১১ঃ২৫
১৫. পীরগাছা ছাড়বে ১১ঃ৪৩
১৬. বামনডাঙ্গা ছাড়বে ১২ঃ২৭
১৭. গাইবান্ধা ছাড়বে ১৩ঃ০৫
১৮. বোনারপাড়া ছাড়বে ১৩ঃ৪০
১৯. মহিমাগঞ্জ ছাড়বে ১৩ঃ৫১
২০. সোনাতলা ছাড়বে ১৪ঃ০২
২১. বগুড়া ছাড়বে ১৪ঃ৩৮
২২. তালোড়া ছাড়বে ১৫ঃ০৪
২৩. সান্তাহার পৌছাবে ১৬ঃ০০



আপে/ডাউনে সমান বিরতি কার্যকর থাকবে। 



৭৬৭/পঞ্চগড় গামী/আপ,

 ১. সান্তাহার ছাড়বে ১১ঃ০০
২. তালোড়া ছাড়বে ১১ঃ২৭
৩. বগুড়া ছাড়বে ১১ঃ৫৫
৪. সোনাতলা ছাড়বে ১২ঃ৩৯
৫. মহিমাগঞ্জ ছাড়বে ১২ঃ৫০
৬. বোনারপাড়া ছাড়বে ১৩ঃ০৫
৭. গাইবান্ধা ছাড়বে ১৩ঃ৪৫
৮. বামনডাঙ্গা ছাড়বে ১৪ঃ২০
৯. পীরগাছা ছাড়বে ১৪ঃ৪১
১০. কাউনিয়া পৌছাবে ১৫ঃ০০, ছাড়বে ১৫ঃ২০
১১. রংপুর ছাড়বে ১৫ঃ৪৭
১২. বদরগঞ্জ ছাড়বে ১৬ঃ১৫
১৩. খোলাহাটি ছাড়বে ১৬ঃ২৮
১৪. পার্বতীপুর পৌঁছাবে ১৬ঃ৪৫, ছাড়বে ১৭ঃ০৫
১৫. চিরিরবন্দর ছাড়বে ১৭ঃ২৭
১৬. দিনাজপুর ছাড়বে ১৭ঃ৫২
১৭. সেতাবগঞ্জ ছাড়বে ১৮ঃ২৮
১৯. পীরগঞ্জ ছাড়বে ১৮ঃ৪৬
২০. ঠাকুরগাঁও ছাড়বে ১৯ঃ১৫
২১. রুহিয়া ছাড়বে ১৯ঃ৩৫
২২. কিসমত ছাড়বে ১৯ঃ৪৭
২৩. নয়নীব্রুজ ছাড়বে ২০ঃ০০
পঞ্চগড় পৌঁছাবে রাত ২০ঃ২০ টায় 

*ট্রেনটির কোন অফ ডে থাকবে না। 
*টিকিট অনলাইন ও কাউন্টার ২ ভাবেই পাবেন। 
*দুই দোলনচাঁপা আপ/ডাউন ক্রসিং সম্ভবত গাইবান্ধাতে হতে পারে যদি ২ ট্রেনই সঠিক সময়ে থাকে। 
*স্টান্ডিং টিকিট চালু আছে। সিট সহ টিকিট না পেলে কাউন্টার থেকে স্টান্ডিং টিকিট নিতে পারবেন৷ 


Wednesday, 20 May 2020

তেঁতুলিয়ায় করতোয়া মানব কল্যাণ সোসাইটির উদ্যোগে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ

তেঁতুলিয়ায় করতোয়া মানব কল্যাণ সোসাইটির উদ্যোগে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ

 করোনা ভাইরাসের দুর্যেোগপূর্ণ  মুহুর্তে  দেশের চলমান দুঃসময়ে পঞ্চগড়ের, তেঁতুলিয়া উপজেলার,ভজনপুর ইউনিয়নের সেচ্ছাসেবী সংগঠন করতোয়া মানব কল্যাণ সোসাইটির উদ্যোগে ১০০ দরিদ্র, মধ্যবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

আজ ২০-৫-২০ (বুধবার) সন্ধ্যার পর থেকে সংগঠনটির সেচ্ছাসেবীরা উপহার সামগ্রী নিয়ে মানুষের বাড়ি, বাড়ি পৌঁছে দেয়।


ঈদ সামগ্রী সমূহের মধ্যে ছিল সেমাই, চিনি, মুড়ি, সয়াবিন তেল, দুধ ও সাবান। ঈদ উপহার সমগ্রী বিতরণের সময় উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনঠির উপদেষ্টা, আবুল কালাম আজাদ ও জাকির হোসেন।

এসময় সংগঠনের অন্যতম সদস্য হামিদুল ইসলাম, রাকিব, আবু, খাইরুল, আব্দুল্লাহ, সাজু, খাইরুল, ঈমান আলী, বাপ্পি, নুরুজ্জামান সহ অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। ঈদ উপহার সমগ্রী পেয়ে অসহায় মানুষগুলো খুবই আনন্দিত।

Friday, 24 April 2020

টিম "মানবিক বৈরাগী গছ   নামে একটি স্বেচ্ছাসেবি  সামাজিক সংগঠন  ত্রাণ বিতরন

টিম "মানবিক বৈরাগী গছ নামে একটি স্বেচ্ছাসেবি সামাজিক সংগঠন ত্রাণ বিতরন


টিম "মানবিক বৈরাগী গছ ত্রাণ বিতরন


টিম "মানবিক বৈরাগী গছ নামে একটি স্বেচ্ছাসেবি সামাজিক সংগঠন ত্রাণ বিতরন
এই মহামারি করোনার সময়ে  আসহায় ও দুস্থ ৩৭ পারিবারের মাঝে চাল ডাল তেল সাবান
 বিতরন করেন এই সংগঠনটি 
আজ শুক্রবার সকাল দশ ঘটিকায় ্ বৈরাগি গছ সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয় মাঠে এই সময় 
উপস্থিত ছিলেন এলাকার গৌণ্য মান্য ব্যাক্তি বর্গ



সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা সফল।
মহামারী করোনায় গৃহবন্দী কিছু মানুষের হাতে "
টিম "মানবিক বৈরাগী গছ""একটি স্বেচ্ছাসেবি সামাজিক সংগঠন এর" পক্ষ থেকে খাবার পৌঁছে দিতে পেরে।
ভালবাসা অফুরান যারা কাছে ও দূরে থেকে সাহায্য করেছেন, অনুপ্রেরণা যুগিয়েছেন সকলের প্রতি

Friday, 10 April 2020

পঞ্চগড় কে লকডাউন ঘোষণা করুন

পঞ্চগড় কে লকডাউন ঘোষণা করুন


পঞ্চগড় কে লকডাউন ঘোষণা করুন
পঞ্চগড় এর এমপি/মন্ত্রী, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ডিসি, এসপি, পৌরসভা মেয়র, সকল সচেতন নাগরিগন, সাংবাদিক, ওলামা কেরাম,সোশিয়াল ওয়েলফেয়ারের সংগঠন, প্রিয় ছাত্রলীগ সহ অন্যান্য সংগঠন এবং অরাজনৈতিক সকল তরুনদের প্রতি আহবান আগামী / দিনের ভিতরে" পঞ্চগড় লক ডাউন "করার ব্যবস্থা নিন।আপনাদের মধ্যে যে কোন একটি সংগঠন আওয়াজ তুললেই হয়ে যাবে
আমার মাটিই আমার মাকে (পঞ্চগড়) করোনা থেকে বাচানোর জন্য আলাদা পদক্ষেপ নিন। জেলা থেকে অন্যান্য জেলা, থানা থেকে থানা, পৌরসভা থেকে অন্যান্য ইউনিয়ন চেইন বন্ধ করে দিন

সময় নেই আমাদের হাতে, আফসোস করার আগে করনীয় কাজটা করে ফেলুন
ভাষা আন্দোলন থেকে মুক্তিযুদ্ধ সব ক্ষেত্রে পঞ্চগড়বাসী অগ্রনী ভুমিকা রেখেছে। আর এটা হচ্ছে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ এখানে কেন আমরা পিছিয়ে থাকবো!!
এটা সময়ের দাবি। লগ ডাউন হবে আজ অথবা কাল কিন্তু যে সময় টুকু দেরি করছেন এতেই হারাতে পারে আমার আপনার প্রিয় মুখগুলো
#সময়ের_দাবী শেয়ার করুন, জনসচেতনতা সৃষ্টি করুন


Sunday, 22 September 2019

গুরুত্বপূর্ণ পদে দেখতে চাই আলমগীর কবির ভাইকে

গুরুত্বপূর্ণ পদে দেখতে চাই আলমগীর কবির ভাইকে

আগামী ১৪ই নভেম্বর (সম্ভাব্য)
তেতুলিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগ এর সম্মেলনে, পঞ্চগড় জেলা
পরিষদ এর -প্যানেল চেয়ারম্যান, গরিব ও মেহনতি মানুষের নেতা,



তেতুলিয়া উপজেলার উদিয়মান নেতা, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও সৎ চরিত্রবান বিশিষ্ট
ব্যবসায়ী মো : আলমগীর কবির ভাইকে
তেতুলিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগ এর নতুন
কমিটিতে গুরুত্বপূর্ণ পদে দেখতে চাই।।

Tuesday, 10 September 2019

পঞ্চগড়ে অভিনয় কর্মশালায় প্রশিক্ষনার্থীদের সনদ পত্র প্রদান

পঞ্চগড়ে অভিনয় কর্মশালায় প্রশিক্ষনার্থীদের সনদ পত্র প্রদান

নতুন অভিনয় শিল্পীর খোজে পঞ্চগড়ের নাট্যগোষ্ঠী ‘ভূমিজ’এর আয়োজনে ৪দিন ব্যাপী অভিনয় প্রশিক্ষণ কর্মশালার সমাপনী শেষে সনদপত্র প্রদান অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার(৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ভূমিজের কার্যালয়ে ৪দিন



ব্যাপী এ অভিনয় প্রশিক্ষণ কর্মশালার সনদ প্রদানের মধ্যে দিয়ে শেষ হয়। উক্ত সমাপনী অনুষ্ঠানে ভূমিজের সভাপতি সাংবাদিক সরকার হায়দারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন পঞ্চগড় উদীচী শিল্পী গোষ্ঠীর


সভাপতি ও ভূমিজের উপদেষ্টা শফিকুল ইসলাম, বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন শিল্পকলা একাডেমির সাধারন সম্পাদক আবু তোয়াবুর রহমান, দিশারী নাট্য গোষ্ঠীর সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, জেলা রিপোর্টার্স ক্লাবের

সাধারণ সম্পাদক সাইদুজ্জামান রেজা,ভূমিজের সাংগঠনিক সম্পাদক হাজ্জাদ তানিম, প্রমুখ। উক্ত কর্মশালায় পঞ্চগড়ের ৫ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার বিভিন্ন বয়সী তরুন ও তরুনীরা অংশ নেয় এতে অংশ গ্রহনকারীদের প্রশিক্ষণ শেষে সনদ প্রদান করে সংগঠনটি । গত ৬ সেপ্টম্বর(বৃহস্পতিবার) নাট্যগোষ্ঠী ‘ভূমিজ’এর আয়োজনে ৪দিন ব্যাপী এ অভিনয় প্রশিক্ষণ কর্মশালা শুরু হয়।

Thursday, 5 September 2019

 কাঁচা চা পাতার মূল্য বৃদ্ধির দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ পঞ্চগড়ে

কাঁচা চা পাতার মূল্য বৃদ্ধির দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ পঞ্চগড়ে

 কাঁচা চা পাতার মূল্য বৃদ্ধির দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ পঞ্চগড়ে


পঞ্চগড়ে কাঁচা চা পাতার মূল্য বৃদ্ধির দাবিতে পঞ্চগড়ে চা চাষিরা বিক্ষোভ সমাবেশ ও প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারক লিপি প্রদান করেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে শহরের শের-ই-বাংলা পার্কের মুক্ত মঞ্চে সবাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। 

বাংলাদেশ স্মল টি গার্ডেন ওনার্স এসোসিয়েশন এই বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত সম্রাট, কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি আব্দুল লথিব তারিন, সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবু বকর সিদ্দিক, পৌর কাউন্সিলর সফিকুল ইসলাম, নাগরিক কমিটির সভাপতি বশিরুল আলম, চা চাষী ও জেলা শিল্প কলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক আবু তোয়াবুর রহমান, সাংবাদিক ও চা চাষি মোহাম্মদ শাহাজালাল, চা চাষি এবিএম আক্তারুজ্জামান শাহাজাহান,  চা চাষি শাহাজাহান খান প্রমুখ । 


এসময় বক্তারা বলেন পঞ্চগড়ের চা শিল্প আজ হুমকির মুখে। কাঁচা পাতার মূল্য না বাড়ালে চা চাষিদেও পথে বসতে হবে। ইতোমধ্যে অনেক চা চাষি চা পাতা কেটে ফেলে দিচ্ছেন। তাই কাঁচা চা পাতার মূল্য বৃদ্ধির জন্য তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। এসময় বক্তারা আরও বলেন আগামী ১৫ দিনের মধ্যে চা পাতার মূল্য বৃদ্ধি না করলে চা চাষিরা পঞ্চগড় কে অচল করে দেবে। প্রয়োজনে বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেয়া হবে। 
তারা বলেন, কারখানা মালিকরা বৃটিশ নীলকরদের মতো আচরণ করছে। শুরুতে তারা ৪০ টাকা ৪২ টাকা দর দিয়েছে। পরে দাম কমিয়ে প্রতিকেজি চা পাতা ৩০/৩৫ টাকা দিয়েছে। আর এখন দিচ্ছে মাত্র ১০ থেকে ১২ টাকা।

সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। শহরের বিভিন্ন রাস্তা প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে বিক্ষোভটি শেষ হয়। পরে  প্রধানমন্ত্রী বরাবরে লিখিত স্মারক লিপি জেলা প্রশাসকের পক্ষে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আব্দুল মান্নানের হাতে তুলে দেয়া হয়। এর আগে স্মারকলিপি পাঠ করে শোনান জেলা পরিষদ চেয়ারম্যন আনোয়ার সাদাত সম্রাট।

স্মারকলিপিতে ৬টি দাবি তুলে ধরা হয়। এগুলো হচ্ছে চা আমদানী বন্ধ এবং সীমান্ত দিয়ে চা প্রবেশ বন্ধ করা। পঞ্চগড়ে সরকারি চা কারখানা স্থাপন, কাঁচা চা পাতার ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত, চা চাষি ও কারখানায় ভতুর্কি প্রদান,পঞ্চগড়ে তৃতীয় নিলাম কেন্দ্র স্থাপন করাসহ আঞ্চলিক টি বোর্ডে কারিগরি দক্ষতা সম্পন্ন জনবল নিয়োগ দেয়ার দাবি জানানো হয়। । 

Friday, 30 August 2019

আনন্দ সংবাদ ও প্রস্তাবনা

আনন্দ সংবাদ ও প্রস্তাবনা

আনন্দ সংবাদ ও প্রস্তাবনা


পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসক সাবিনা ইয়াসমিন সম্প্রতি একটি আনন্দ সংবাদ দিয়েছেন। গত 30 জুন দুপুরে জানিয়েছেন



নগরীর তুলার ডাঙ্গায় করোতোয়া নদীকে ঘিরে পার্ক নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন জেলা প্রশাসন। সোনার বাংলা নামে পার্কটির কাজ অচিরেই শুরু হবে।








 অসীম কৃতজ্ঞতা। মূলত জেলা এবং শহরের মানুষের জন্য মুক্তবাতাশ বা মুক্ত আনন্দের ঠাই ছিলনা। তাই এই দাবীটি







অনেক দিন আগে থেকে চলছিল। সর্বশেষ সাবেক জেলা প্রশাসক অমল কৃষ্ণ মন্ডল ও জহিরুল ইসলাম কে তুলার ডাঙ্গা ঘুরে পার্ক নির্মাণের উদ্যোগ নেয়ার অনুরোধ করেছিলাম। সে সময় অনেক সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। নানা ব্যস্ততার কারনেই হয়তো ইচ্ছে চাপা পরেছিল তাদের। বর্তমান জেলা প্রশাসক অত্যন্ত সাহসী। তাঁর এই








পদক্ষেপ মানুষের জন্য নিগুঢ় আন্তরিকতাই প্রকাশ করে। তিনি শুধু জেলা প্রশাসকই নন একজন প্রতিষ্ঠিত কবিও । কবিরা অত্যন্ত সংবেদনশীল। তিনি অল্পকিছুদিনের মধ্যে বেশ কিছু নান্দনিক স্থাপনার কাজ করেছেন। চিকিৎসা ক্ষেত্রে অবদান রেখেছেন। ডাহুক নদী নিয়ে কবিতা লিখেছেন । কাজ করে যাচ্ছেন।
পৃথিবীর অনেক দেশে নদীকে ঘিরে পার্ক, মঞ্চ সহ নানা ধরনের স্থাপনা নির্মীত হয়েছে। দৃষ্টি নন্দন এই স্থাপনাগুলো শুধু মাত্র সে দেশের নাগরিকদের জন্য নির্মীত হয়নি। নানা দেশ থেকে আসা পর্যটকরাও যাতে মুগ্ধ হয় এবং স্থাপনাটি ঐতিহাসিক সাক্ষ্য হয়ে ওঠে এরকম চিন্তা ও দর্শন মাথায় রেখে এই স্থাপনাগুলো নির্মান করা হয়। বাংলাদেশেও এরকম স্থাপনা রয়েছে।
আমরা চাই তুলার ডাঙ্গার ঐ পার্কটির সাথে একটি এরিনা মঞ্চও সংযুক্ত করা হোক। নানা দেশে নদীর পাশে বা লেকের পাশে এমন সুনন্দিত মঞ্চ রয়েছে। বাংলাদেশেও আছে। রাজশাহীর পদ্মা নদীকে ঘিরে লালন মঞ্চ,ঢাকার রবীন্দ্র সরোবর, সম্প্রতি হাতীর ঝিলে নির্মীত হয়েছে এমন মঞ্চ। কেন এই মঞ্চের প্রয়োজন ?
১. মঞ্চটি যেহেতু নদীর পারে একটি পার্ককে ঘিরে গড়ে উঠবে তাই এর সৌন্দর্য্য মানুষকে বিমোহিত করবে।
২.মঞ্চটিকে ঘিরে গড়ে উঠবে সৃষ্টিশীল মানুষ ।
৩.মঞ্চটিতে ঘোরাফেরার মানুষগুলোর মধ্যে মানবিক আচরনগুলোর বিস্তৃতি ঘটবে।
৪. শিল্প সাহিত্যের বিস্তার ঘটবে ।
৫. নানা অনুষ্ঠান আয়োজন হবে।



৬. বিভিন্ন অনুষ্ঠান উপভোগের মাধ্যমে মানুষ আনন্দ লাভ করবে।





৭, ব্যবসা বাণিজ্য বৃদ্ধি পাবে।
৮. বেকারদের কর্ম সংস্থানের সুযোগ হবে।
৯. অসংখ্য পর্যটক আসবে।
১০. নি:সন্দেহে ইতিহাসের পাতায় নানা ভাবে মঞ্চটির বিস্তৃত ঠাই হবে।
হুমকিতে চা-শিল্প পঞ্চগড়ে

হুমকিতে চা-শিল্প পঞ্চগড়ে

হুমকিতে চা-শিল্প পঞ্চগড়ে



বাজার দরের চেয়ে উৎপাদন খরচ বেশি, আগ্রহ হারাচ্ছেন চাষিরা, দরপতনের জন্য চাষি এবং কারখানা মালিকরা পরস্পরকে দায়ী করছেন
সরকার হ্য়দার ঃ
দেশের উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে কাঁচা চাপাতার দাম কমে যাওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েছেন পাঁচ হাজার ক্ষুদ্র চা-চাষি। বাজারে এখন চাপাতার দামের চেয়ে উৎপাদন খরচ বেশি। বেশ কিছুদিন ধরেই কাঁচা চাপাতার দরপতন চলছেই। বিষয়টি দেখার কেউ নেই। ফলে উত্তরাঞ্চলের অর্থনৈতিক সম্ভাবনাময়ী ‘চাশিল্প’ চরম হুমকিতে পড়েছে।

এ নিয়ে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ চা-চাষি ও কারখানা মালিকদের। চাষিদের অভিযোগ, কারখানা মালিকরা  সিন্ডিকেট তৈরি করে কাঁচা চাপাতার দাম কমিয়েছেন। কারখানা মালিকরা বলছেন ভিন্ন কথা। তাদের অভিযোগ, ক্ষুদ্র চাষিরা কাঁচাপাতা তুলতে নিয়ম মানছেন না বলে চায়ের মান কমে গেছে। তাই অকশন বাজারে ফিনিসড টি বা তৈরি চায়ের দাম কমে যাওয়ার কারণে কমেছে কাঁচা চাপাতার দামও। কাঁচা চাপাতার মূল্য বাড়ানোর জন্য চাষিদের নিয়ম মেনে কাঁচা চাপাতা সংগ্রহ ও ভালো চারা রোপণের পরামর্শ দিচ্ছে টি-বোর্ড।


পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ার ক্ষুদ্র চা-চাষি মোহাম্মদ জুবায়েদ ইকবাল রাহেল জানান, ‘সরকার নির্ধারিত চাপাতার দাম প্রতি কেজি ২৪ টাকা ৫০ পয়সা। কিন্তু স্থানীয় ১৩টি চা কারখানার কর্তৃপক্ষ চাষিদের কাছ থেকে চাপাতা কিনছেন মাত্র ১০-১২ টাকায়। প্রতি কেজি চা উৎপাদনে খরচ পড়ছে ১৪-১৫ টাকা। আবার ২০ থেকে ৩০ ভাগ পাতা কেটে নিচ্ছে চা কারখানা কর্তৃপক্ষ। চাষিরা ন্যায্যমূল্য না পাওয়ার পেছনে দায়ী অকশন মার্কেটও। তারা একটি সিন্ডিকেট তৈরি করে চাপাতা কম দামে কিনছেন। ভোক্তা পর্যায়ে কিন্তু চায়ের দাম কমছে না।’
সর্বশেষ গত ১৪ জুলাই পঞ্চগড় জেলার কাঁচা চাপাতার মূল্য নির্ধারণ কমিটি প্রতি কেজি কাঁচা চাপাতার দাম নির্ধারণ করে ১৬ টাকা ৮০ পয়সা। একবৃন্তে ৪ থেকে ৫ পাতার চাপাতা সরবরাহের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয় চাষিদের। একইসঙ্গে কারখানা মালিকদের প্রতিবৃন্তে ৪/৫ পাতার বেশি কাঁচা চাপাতা না নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হলেও তারা এই নির্দেশনা মানছেন না। বরং নানা অজুহাত দেখিয়ে চাষিদের প্রতি কেজি কাঁচা চাপাতা কিনছেন ১০ থেকে ১২ টাকা দরে। ফলে চায়ের মান কমে যাচ্ছে। এসব কারণে পঞ্চগড়ে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন নতুন চাষিরা। তাই বিক্রি হচ্ছে না চায়ের চারা। লোকশান গুনতে হচ্ছে চারা উৎপাদনকারী চাষিদের। এ নিয়ে চাষিরা মানববন্ধন করে দাবি দাওয়া তুলে ধরলেও কেউই কর্ণপাত করছেন না। জানা যায়, ২০১৮ সালে পঞ্চগড়ে কাঁচা চাপাতার দাম ছিল কেজি প্রতি ৩০ থেকে ৩৫ টাকা। কিন্তু এ বছর হঠাৎ করেই দাম কমে যায়। ক্ষুদ্র চা চাষিরা বলছেন, এই মূল্যে লোকসান গুনতে হচ্ছে তাদের। চা শ্রমিকদের মজুরি এবং সার-কীটনাশকের খরচ জোগাতে ঘর থেকে টাকা ঢালতে হচ্ছে। তাদের অভিযোগ, কারখানার মালিকরা সিন্ডিকেট করে কাঁচা চাপাতার দাম নিয়ন্ত্রণ করছেন। দাম কম দেওয়ার পাশাপাশি কেজিতে ২০ থেকে ৩০ শতাংশ কাঁচা চাপাতার দাম কেটে রাখা হচ্ছে। এর প্রতিবাদ করলে চাপাতা কেনা বন্ধ করে দেন তারা। তেঁতুলিয়া উপজেলার পেদিয়াগজ এলাকার ক্ষুদ্র চা-চাষি ফারুক হোসেন জানান, এক হাজার কেজি কাঁচা চা উৎপাদনে খরচ হয় ১০ হাজার টাকা। কারখানায় নিয়ে গেলে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ কেটে নিয়ে দাম পাই ৭ হাজার টাকা। চাষিরা বলছেন, পরিকল্পিতভাবে চা কারখানা বন্ধ রাখা হচ্ছে, যাতে চাষিরা সময়মতো চাপাতা বিক্রি করতে না পারে। গত বছর চা মৌসুমে কারখানা মালিকরা প্রতিযোগিতামূলকভাবে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা  কেজি দরে চাষির কাছ থেকে পাতা কিনেছেন। কিন্তু এ বছর মৌসুম শুরু হতেই কারখানা মালিকরা নানা টালবাহানা শুরু করেন।


সম্প্রতি পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার ক্ষুদ্র চাষিরা চাপাতার ন্যায্য মূল্যের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেন। পরে তেঁতুলিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী মাহমুদুর রহমান ডাবলু ঘটনাস্থলে এসে বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে সমঝোতার আশ্বাস দিলে তারা অবরোধ তুলে নেন। এরপরও চাষিরা চায়ের ন্যায্য মূল্য দূরের কথা উৎপাদন খরচই পাচ্ছেন না। চা কারখানা কর্তৃপক্ষ বলছেন, ক্ষুদ্র চা-চাষিরা গাছ থেকে চাপাতা সংগ্রহে নিয়ম মানছেন না। চাপাতার কালচার যথাসময়ে বজায় রাখছেন না। চাপাতার থিকনেস বাড়ানোর জন্য কেমিক্যাল ব্যবহার করায় চায়ের গুণগত মান কমে যাচ্ছে। গ্রিন কেয়ার অ্যাগ্রো লিমিটেডের ব্যবস্থাপক মঞ্জুর আলম বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান, চাষিরা চাপাতার পরিপক্বতা ৪ থেকে ৫ না মেনে ১০/১২-এর  উপরে পাতা সরবরাহ করছেন। ফলে চায়ের মান কমে গেছে। এ কারণে অকশন মার্কেটে তৈরি চায়ের দরপতন ঘটেছে। কাঁচা চাপাতার মূল্য পাচ্ছেন না চাষিরা। স্মল টি গ্রোয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের তেঁতুলিয়া উপজেলা সভাপতি হাবিবুর রহমান হবি বলেন, ‘পঞ্চগড়ে সরকারিভাবে একটি চা কারখানা স্থাপন করার কথা ছিল, সেটি দ্রুত স্থাপন করা হোক। সেই সঙ্গে পঞ্চগড়ের সব চাষিকে চা একটি বিক্রয়কেন্দ্রে বিক্রির ব্যবস্থা করতে হবে। সেখান থেকে কারখানা মালিকরা তাদের চাহিদা অনুযায়ী চা কিনে নিয়ে যাবেন।’

Thursday, 29 August 2019

দৃ‌ষ্টি আকর্ষন পঞ্চগড়বাসীর কা‌ছে

দৃ‌ষ্টি আকর্ষন পঞ্চগড়বাসীর কা‌ছে

দৃ‌ষ্টি আকর্ষন পঞ্চগড়বাসীর কা‌ছে 


বাংলাবান্ধা থে‌কে পঞ্চগড় হ‌য়ে ০৬ লেনের রাস্তা ও পাইপলাই‌নের মাধ্য‌মে ভারত থে‌কে তেল আমদানী নি‌য়ে জ‌মি/ভূ‌মি অ‌ধিগ্রহ‌নের বিষয়‌টি পঞ্চগড়বাসীর কা‌ছে এক‌টি বড় বিষ‌য়ে প‌রিনত হ‌য়ে‌ছে। এটা স‌ঠিক যে ০৬ লে‌নের রাস্তা হ‌লে তার স‌র্বোচ্চ সুফল পা‌বে আমা‌দের জেলাবাসী, আর পাইপ লাই‌নে তেল আমদানী কর‌লে তার সুফল পা‌বে সমগ্র দেশবাসী। এগু‌লো নিঃস‌ন্দে‌হে বর্তমান সরকা‌রের প্রশংসনীয় উ‌দ্যোগ। ত‌বে এসব ভা‌লো কা‌জের জন্য ভূ‌মি
অ‌ধিগ্রহণের বিষয়‌টি নি‌য়ে আত‌ঙ্কে আ‌ছে পঞ্চগড়বাসী। ভূ‌মি অ‌ধিগ্রহ‌ণের বিষয়‌টি সরকা‌রের বিধিমালার আ‌লো‌কে নী‌তিমালা‌টি সং‌স্লিষ্ট পে‌জের মাধ্য‌মে স্পষ্ট কর‌লে জেলাবাসীর আতঙ্ক কিছুটা প্রশ‌মিত হ‌তো। আর ভূ‌মি অ‌ধিগ্রহণ যদি হয়ও, সে‌ক্ষে‌ত্রে ক্ষ‌তিগ্রস্থ ভূ‌মি মা‌লিকরা যেন ন্যায়সঙ্গত ও‌ পর্যাপ্ত ক্ষ‌তিপূরন পায়। সব‌চে‌য়ে বড় কথা ভূ‌মি অ‌ধিগ্র‌হনের না‌মে এক‌টি প্রতারক চক্র ই‌তিম‌ধ্যে মা‌ঠে নে‌মে প‌রে‌ছে ব‌লে শু‌নে‌ছি। ওই প্রতারক চক্র‌টি সম্ভাব্য ক্ষ‌তিগ্রস্থ সহজ সরল ভূ‌মি মা‌লিক‌দের টা‌র্গেট ক‌রে‌ছে। তা‌দের অ‌ধিক প‌রিমান ক্ষ‌তিপূরন পাই‌য়ে দেওয়ার আশ্বাসের বি‌নিম‌য়ে বড় রক‌মে আ‌র্থিক সু‌বিধা গ্রহ‌নের প্রতারনায় নে‌মে‌ছে। তা‌দের প্রতারণার ফাঁ‌দে সহজ সরল পঞ্চগড়বাসী যেন পা না দেয়, এজন্য জনস‌চেতনতা সৃ‌ষ্টি জরুরী হ‌য়ে প‌রে‌ছে। এ নি‌য়ে জেলা তথ্য বিভা‌গের মাধ্য‌মে মাই‌কিং, সং‌স্লিষ্ট এলাকার ইউ‌নিয়ন প‌রিষ‌দের জনপ্র‌তি‌নি‌ধি, মস‌জি‌দের ইমাম, গনমাধ্য‌মকর্মী‌দের দ্বারা দ্রুত প্রচার প্রচারণার মাধ্য‌মে জনগন‌কে প্রতারনার ফাদে পা না দি‌তে আহ্বান জা‌নি‌য়ে স‌চেতন করা যে‌তে পা‌রে।স‌র্বোপ‌রি পু‌রো বিষয়‌টি নি‌য়ে ধোয়াশা কাটা‌তে সং‌স্লিষ্ট‌দের সহ‌যোগীতা ও কার্যকরী পদ‌ক্ষেপ কামনা কর‌ছি। ধন্যবাদ।

#সংগৃহীত

Monday, 26 August 2019

বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মত টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার অভিভাবকদের সম্মাননা প্রদান করল পিটিইএ

বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মত টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার অভিভাবকদের সম্মাননা প্রদান করল পিটিইএ

বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মত টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার অভিভাবকদের সম্মাননা প্রদান করল পিটিইএ

গত ১৪ই আগস্ট পঞ্চগড় টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার্স এসোসিয়েশন (পিটিইএ) এর আয়োজনে পঞ্চগড় সরকারি অডিটোরিয়ামে "অভিভাবক সংবর্ধনা ও ঈদপুনর্মিলনী" অনুষ্ঠিত হয়।


পঞ্চগড় জেলার ১০০ জন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার ও ৩০ জন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া শিক্ষার্থীর অভিভাবককে (মা-বাবা) সম্মাননা স্মারক (ক্রেস্ট) প্রদান করা হয়। এছাড়াও জেলার ২জন তরুন টেক্সটাইল উদ্যোক্তাকে সম্মাননা স্মারক তুলে দেয়া হয়। উদ্যোক্তারা হলেন এক্সপ্লোর নিটেক্সের এম,ডি শাহনেওয়াজ প্রধান শুভ, বেরং লিমিটেডের এম,ডি ইঞ্জিঃ সহিদুল আলম।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পঞ্চগড়-০১ আসনের সাংসদ মজাহারুল হক প্রধান, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আনোয়ার সাদাত সম্রাট, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদর্শন কুমার রায় (সদর সার্কেল), জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান, ফাইয়াজ গ্রুপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোঃ মনির হোসেন, ডিএফএল গ্রুপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর নবিন চন্দ্র রায়, লুসাকা গ্রুপের অপারেশন ডিরেক্টর ইঞ্জিঃ মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী (পিটার্স) প্রমুখ।

যে অভিভাবক অক্লান্ত পরিশ্রম করে সন্তানদের ইঞ্জিনিয়ার বানিয়েছেন সেই অভিভাবকদের হাতে সম্মাননা তুলে দেওয়ায় অভিভাবকরা অনেক খুশি ও নিজেদের স্বার্থক অভিভাবক হিসেবে দাবি করেন এবং সেই সাথে পিটিইএ আয়োজক কমিটিকে অসংখ্য ধন্যবাদ দেন।

পিটিইএ এর পক্ষ থেকে জনপ্রতিনিধিদের কাছে পিটিইএ এর জন্য পঞ্চগড়ে অফিসের জায়গার আবেদন করা হলে সাংসদ ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পঞ্চগড় জেলা পরিষদ সুপার মার্কেটের ২য় তলায় সরকারি বিধি অনুযায়ী অফিসের ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য প্রতিশ্রুতি দেন।

সেই সাথে জেলার পোশাক কারখানার মালিকরাও সর্বদা যেকোনো সমস্যায় পিটিইএ এর পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেন।